» পরিকল্পনা অনেক বড় বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব?

প্রকাশিত: ০৯. সেপ্টেম্বর. ২০২৫ | মঙ্গলবার

১২ লক্ষ নাগরিকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তাঁদের সকল প্রকার সমস্যা আমার নিজের সমস্যা বলে ঘোষণা করে আটঘাট বেঁধে সারাদিনই মাঠে সদ্য যোগদান করা পুলিশ কমিশনার আব্দুল কদ্দুছ চৌধুরী।যানজট নিরসন, অবৈধ যানবাহন, পতিতা পল্লীতে পরিণত হওয়া সিলেটের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল মোটেল ও বিভিন্ন রিসোর্টের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করছেন তিনি।
যানবাহনের অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধি রিকশা -অটোরিকশা সকল প্রকার যানবাহনের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আইনগত সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো চাপ থাকে গতিরোধ করতে পারবেনা বলে স্পষ্ট উচ্চারণ আমি বদলে দিতে এসেছি বদলাবোই তবে সময় চাই। গত রবিবার সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির বিভাগীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদ্য যোগদানকৃত সিলেটের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য দেন। কিশোর গ্যাং অবৈধ অস্ত্র মোবাইল চুরি, ইভটিজিং, চুরি ছিনতাই, ভাড়াবৃদ্ধিসহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নে হাত দিতে চান। পুলিশ কমিশনার জানান খুব শিঘ্রই তারা জিনিয়া নামের একটি এ্যাপস নিয়ে আসছেন যেটা দ্বারা তড়িৎ পুলিশি সেবা পেতে সাহায্য করবে এবং নতুন একটি তথ্য দিলেন কমিশনার তিনি বলেন আমরা এমন একটা প্রযুক্তি নিয়ে আসছি তাতে মোবাইল চোরদের মোবাইল চুরিতে অনিহা চলে আসবে কারণ মোবাইল চুরি করে কোনো লাভ হবেনা, মোবাইল কোনোভাবেই সক্রিয় করা যাবেনা। চুরিকৃত মোবাইল কারো কোনো কাজেই আসবেনা ।এক ‘মাস্টারপ্ল্যান’ হাতে নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। তাদের নতুন অস্ত্র- প্রযুক্তি। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই চোরাইফোনকে পরিণত করা হবে ‘ইটের টুকরোতে’। যাতে করে চোর চাইলেও ফোনটি ব্যবহার কিংবা বিক্রি করতে পারবে না সামান্য মূল্যেও।

এসএমপি জানিয়েছে, তারা সমস্যার মূলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আঘাত হানতে চায়। কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী (পিপিএম-সেবা) বলেন, “বর্তমানে সিলেটের বড় একটি সমস্যা হলো মোবাইল চুরি। আমাদের পক্ষে সবগুলো মোবাইল খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না।”
তিনি পবিত্র ভুমি কোনো অনৈতিক কাজ করতে দেবেন না হোটেল মালিকদের তিনি রেড সিগনাল পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন সময় পেলে একটি নিরাপদ নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজে নেমেছি, সময় বলে দেবে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারি । এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির বিভাগীয় চেয়ারম্যান অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক আ ম ন জামান চৌধুরী, সংগঠনের মহাসচিব নূরুল ইসলাম সুমন ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন দিলাল, ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লিটন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আসলাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ লিটন, কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান বঙ্গি, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান গোলাম মোস্তফা, পায়েল আহমদ, শাহজাহান মিয়া,শহীদ মিয়া, রাহান আহমদ, মনু মিয়া, আজিজুর রহমান,সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়
১) কিশোর গ্যাং নির্মৃল। ২) ইভটিজিং বন্ধ করতে হবে
৩)মব বন্ধ করতে হবে, মবকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪)চুরি ছিনতাই বন্ধে পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে হবে
৫)দুর্নীতিবাজ পুলিশদের প্রমাণ সাপেক্ষে সাসপেন্ড করতে হবে।
৬)সিলেটের হোটেল মোটেলে অনৈতিক অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে হবে, অপরাধ সাব্যস্ত হলে হোটেলকে সিলগালা করে দিতে হব।
৭) ভেজাল খাদ্য তৈরী এবং বিক্রয়ে ভেজালরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে অভিযানে পুলিশের আরো ব্যাপক শক্তি দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনায় রাখতে হবে।

[hupso]