» প্রতিটি জেলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ কয়েদি

প্রকাশিত: ৩০. নভেম্বর. ২০২৩ | বৃহস্পতিবার

দেশে মোট ৬৮টি জেলখানা আছে। তার ধারণক্ষমতা ৪২,৭০০। বর্তমানে তা বন্দিতে উপচে পড়ছে।তিল ধারণের ঠাঁই নেই সবকটি জেলে। কোথায় কোথায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দুইগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছে । সেপ্টেম্বরে বন্দির সংখ্যা ছিলো ৭৭২০০ এই দুইমাসে রাজনৈতিক মামলায় গণহারে গ্রেফতারের ফলে বন্দীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে । নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত দলগুলোর নেতাকর্মীদের নামে কয়েক লক্ষ মামলায় প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে যাচ্ছেন শত-শত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী। যার ফলে দেশের প্রতিটি কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বন্দী রয়েছেন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। জেলের ভেতর তীল ধারণের ঠাঁই নেই । বিভাগীয় শহর সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ধারণ ক্ষমতা ২০০০ সেখানে বন্দী রয়েছে ২৩২৪ জন সুনামগঞ্জের ডিপুটি জেল সুপার সিলেট সংবাদকে জানান সুনামগঞ্জ জেলে বন্দী ধারণা ক্ষমতা ৪৩৫ সেখানে বন্দী আছেন ৬৪০ জন মৌলভীবাজার জেলার কারাগারে বন্ধী ধারণ ক্ষমতা ৩১৬ সেখানে বন্দী আছে ৭২৫ জন। হবিগঞ্জ জেলার কারাগারে বন্ধী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪৪৬ সেখানে বন্দী আছেন ৮২৫ জন। জেল সুপার ও জেলাররা জানান প্রতিদিন বন্দী সমান থাকেন না নতুন নতুন আসামীরা আসেন কেউ জামিন পেয়ে বা শাস্তি শেষে চলে যান সেকারণে বিকেলে ঠিকটাক হিসাবটা দেওয়া যায়না তবে তারা বলছেন দু-চারজন কমবেশি হবে। বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের শরীক জামায়াতের ডাকে সপ্তাহের ৪ থেকে পাঁচদিন হরতাল অবরোধ মিলেয়ে চলছে লাগাতার আন্দোলন সেইসব আন্দোলন দমাতে চলছে পুলিশি এ্যাকশন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের যেখানে যাকে পাচ্ছে ওয়ারেন্ট এবং ওয়ারেন্ট ছাড়া কোনরকম অভিযোগ ব্যতিত গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাটাচ্ছে গত এক মাসে ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে করার অভিযোগ করছেন আন্দোলনরত দলগুলোর নেতারা। অভিজ্ঞরা বলছেন নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আন্দোলন যত তীব্র হবে গ্রেফতারের সংখ্যা আরো বাড়বে ফলে কারাগারগুলোতে তীল ধারণের ঠাঁই পাওয়া যাবেনা।

[hupso]